টুপি - শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় Tipu by Shirshendu Mukhopadhyay

উপন্যাসের নাম : টুপি 
বইয়ের নাম : শারদীয়া দেশ, ১৪৩০
লেখকের নাম : শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় 
প্রকাশনীর নাম : আনন্দ পাবলিশার্স 
জঁর : অদ্ভুতুড়ে
মূল্য : ২৬০.০০
পৃষ্ঠা সংখ্যা : ২৫
রেটিং : ৯/১০
টুপি - শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় Tipu  by Shirshendu Mukhopadhyay



প্রতিবছর আনন্দমেলা হাতে পেলে সবার প্রথমে পড়তাম শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের অদ্ভুতুড়ে সিরিজ। গতবছর, ১৪৩০ সালে, শারদীয়া দেশে অদ্ভুতুড়ে সিরিজের নূতন উপন্যাস "টুপি" বেরিয়েছিল। সেই উপন্যাসের রিভিউ দেবার চেষ্টা করলাম।

প্রচ্ছদ যেকোনো পুস্তকের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ। প্রচ্ছদ হল সেই সেতু যা পাঠকের সাথে বইয়ের যোগাযোগ ঘটায়। যেহেতু "টুপি" উপন্যাসটি দেশ শারদীয়ার অন্তর্ভুক্ত, তাই এর কোনো স্বতন্ত্র প্রচ্ছদ ছিল না। তাই, প্রচ্ছদ নিয়ে আলোচনা এই রিভিউতে সম্ভব নয়।


উপন্যাসটির নাম টুপি হলেও, বিষয়বস্তুর সাথে সরাসরি এর যোগাযোগ নেই। কিন্তু তাসত্ত্বেও এই উপন্যাসের নাম টুপি কেন, তা জানতে হলে পড়তে হবে এই দুরন্ত কিশোরপাঠ্য উপন্যাসটি।

উপন্যাসের সূচনায় আমরা দেখতে পাই এক মজার চোর গনাকে। ভাগ্যের পরিহাসে তাকে মাসীর বাড়িতে থাকতে হয়। বিশাল বড়লোক তথা সুদখোর মেসো বিজয় মল্লিক তাকে একেবারেই দেখতে পারেন না। গনার জীবনের একমাত্র লক্ষ্য, একজন খ্যাতনামা তস্কর হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করা। তার জন্য সে সবকিছু করতেই প্রস্তুত। গনার জীবনের লক্ষ্য পূরণে সহায়তা করতে চায়, তার মাসীর দুই ছেলে বাবলু ও গাবলু। নিজের লক্ষ্য পূরণ করতে গনা একদিন এক ভুতুড়ে বাড়িতে চুরি করতে যায়। প্রায় ১৫০ বছর আগে, সেই বাড়ির শেষ পুরুষ মারা গেছেন। কিন্তু তা সত্বেও এখনো সেই বাড়িতে তার ভৌতিক উপস্থিতি বর্তমান। তিনি সেখানে একটা রহস্যময় জিনিস পাহারা দিচ্ছেন। এবং সেখানে যাতে বাইরের কেউ প্রবেশ করতে না পারে, তার জন্য বিভিন্ন বন্দোবস্তও করে রেখেছেন।


ঈগল মানসিক কেন্দ্রে রোগী হিসাবে ভর্তি থাকলেও প্রকৃতপক্ষে সে পাগল নয়। তাকে পাগল সাজিয়ে রাখা হয়েছে। ইন্দুমতি তাকে বলেছেন, যে সে পাগল নয় কিন্তু সরকারি নিয়মানুসারে তাকে ছাড়া সম্ভব নয়। সে সেখান থেকে পালিয়ে প্রথমে একটা মন্দিরে এবং পরে একটা ক্লাবে আশ্রয় নেয়। সেখানে অন্যদের মুখে সে জানতে পারে, তার আসল নাম বুলু মজুমদার।

উপন্যাসটিতে রহস্যের সূত্রপাত হয় এইখান থেকেই। বুলু মজুমদারের প্রকৃত পরিচয় কি? তাকে পাগলা গারদে রাখা বা মেরে ফেলার ষড়যন্ত্রের কারণ কি? দ্বিতীয় জগৎ বা রহস্যময় টুপির রহস্য কি? গনা চোর কি পারবে বুলুকে ষড়যন্ত্রের হাত থেকে রক্ষা করতে? এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর পেতে হলে পড়তে হবে, শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের অদ্ভুতুড়ে সিরিজের অন্যতম সাড়া জাগানো উপন্যাস "টুপি"।


আমি অদ্ভুতুড়ে সিরিজের বিরাট ভক্ত। "টুপি" উপন্যাসটির অননুকরণীয় গঠন বিন্যাস, চরিত্র সৃষ্টি এবং কথোপকথন, নষ্টালজিয়া বহন করে নিয়ে আসে, কৈশোরে ফিরিয়ে নিয়ে যায় আমাদের। তবে, হয়তো বয়সের কারণে কিছু খামতি থেকে গেছে। তাসত্ত্বেও, পাঠকদের অনুরোধ করবো, অবশ্যই উপন্যাসটি পড়ুন এবং কিছুক্ষণের জন্য ফিরে যান নিজের মায়াভরা কৈশোরে।

উপন্যাস - টুপি
লেখকের নাম - শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় 
পেজ সংখ্যা - ২৫
জনরা - অদ্ভুতুড়ে সিরিজ
মূল্য - ২৬০ টাকা

এইবছর আনন্দমেলা পূজা বার্ষিকী ১৪৩০ এ যখন শুনলাম যে শীর্ষেন্দু বাবুর অদ্ভুতুড়ে সিরিজ এর উপন্যাস থাকবে না মন খারাপ হয়ে গেছিলো। পড়ে যখন জানতে পারলাম সেটা দেশ ১৪৩০ পূজা বার্ষিকী বার হচ্ছে শুনে মন খুশিতে ভরে গেছিলো।তাই দেশ পূজা বার্ষিকী হাতে পাওয়ার সাথে সাথে উপন্যাস টা পড়া শুরু করে দিলাম।আর পড়ার সাথে সাথে মন খুশিতে ভরে গেলো। হয়তো ওনার আগের লেখার সাথে তুলনা চলে না তবু মন ভালো আর খুশিতে ভরে গেলো। আর তাই "টুপি" উপন্যাস টি পড়ার সাথে সাথে রিভিউ নিয়ে চলে আসলাম

যারা আমার মতো শীর্ষেন্দু বাবুর এই অদ্ভুতুড়ে সিরিজ এর ভক্ত তারা জানে এই উপন্যাস গুলো তে কিছু মজার চরিত্র আছে যে গুলো এক একটা কালজয়ী। এই বার উপন্যাস টি নিয়ে একটু আলোচনা করি । উপন্যাস নাম "টুপি" কিন্তু আপনি  যদি নাম দিয়ে এর বিষয়বস্তু আন্দাজ করেন তাহলে আমার মতো আপনাকেও পড়ে অবাক হতে হবে। উপন্যাস শুরুতে আমরা দেখতে পাই এক মজার চোর গনাকে। যে ভাগ্যের পাকে পড়ে মাসির বাড়ি থাকে।

মেসো বিজয় মল্লিক মস্ত বড়ো মহাজন। কিন্তু গণাকে দুই চোখে দেখতে পারে না।সেইখান আছে তার দুই মাসির ছেলে বাবলু আর গাবলু যাদের উদ্দেশ্য হলো একটা ভালো চোর হবার জন্য দাদাকে সাহায্য করা। এবং এর জন্য তারা ইন্টারনেট সাহায্য নেই।গনা জীবনে একটাই লক্ষ্য এক নামি চোর হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করা।তার জন্য সে সব কিছু করতে পারে।সেই গনা চুরি করতে যায় এক ভুতুড়ে বাড়ি তে। সেই বাড়ির শেষ মৃত পুরুষ ১৫০ বছর আগে মারা গেছে। তবু সে একটা জিনিষ পাহারা দিচ্ছে ও সেই বাড়ির ত্রি সীমানা কেউ প্রবেশ না করুক সেটার জন্য সব রকম ব্যাবস্থা করে রেখেছে।

অপরদিকে ইগল একজন মানসিক রোগী।তাকে আমরা দেখতে পাই সে একটা মানসিক কেন্দ্রে ভর্তি। আর সেইখান থেকে সে পালিয়ে যায়। সে পাগল হওয়া না তবু তাকে পাগল সাজিয়ে রাখা হয়েছে।একমাত্র একজন তাকে বলেছে সে সম্পুর্ণ সুস্থ। তবু সরকারি নিয়ম এ তাকে ছাড়া সম্বভ না তিনি হলেন ইন্দুমতি।সেই খান থেকে পালিয়ে গিয়ে প্রথমে একটা মন্দির বা তারপর একটা ক্লাব এ আশ্রয় নেয়। সেখানে সে ইগল রায় বলে নিজেকে জানতে পারে। আর সেইখানে জানতে পারে তার নাম বুলু মজুমদার।

এই খান থেকে উপন্যাস রহস্য সূত্রপাত কে এই বুলু মজুমদার ? কি আছে তার অতীত এ? কেনো তাকে পাগলা গারদে রেখে দেওয়া হয়েছে?তাকে মেরে ফেলার জন্য যে ষড়যন্ত্র চলছে সেটাই বা কি? রহস্য ময় টুপি টা কি? আর দ্বিতীয় জগৎ এর রহস্য বা কি?  গনা আর ইগল কি হলো? ইগল এর জন্য যে ষড়যন্ত্র সেটা কি গনা চোর পারবে তাকে সব বিপদ থেকে রক্ষা করতে পারবে ? আর সর্বশেষ গনা কি এক নাম করা চোর হতে পারবে?

আর গনা শেষে কি করবে এই সব প্রশ্নের উত্তর জানতে হলে পড়তে হবে শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় লেখা এই
অসাধারণ অপূর্ব সুন্দর উপন্যাস "টুপি"।

রেটিং _ আমি ব্যাক্তিগত ভাবে এইই লেখকের এই অদ্ভুতুড়ে সিরিজ আমার কিশোর বয়সের ভালোবাসা
তাই একটু খামতি থাকলেও ফ্যান হিসেবে তাই আমি ১০ এর মধ্যে ১০ দেবো।

রিভিউটি লিখেছেনঃ Bapan Da

boi

Post a Comment

Previous Post Next Post